আমাদের ঋণ দেওয়ার সময় এসে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। সেই সঙ্গে তিনি বলেছেন, প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবায়ন হলে দেশে নতুন নতুন বিনিয়োগ হবে, সৃষ্টি হবে নতুন কর্মসংস্থানের। ফলে দেশের অর্থনীতিতে নতুন দিগন্তের উন্মোচন হবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৩ জুন) করোনা মহামারির প্রকোপের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের টানা তৃতীয় মেয়াদের তৃতীয়বারের বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
করোনাকে অগ্রাধিকার দিয়ে মানুষের জীবন-জীবিকা রক্ষায় ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেন তিনি।
রীতি অনুযায়ী, প্রস্তাবিত বাজেটের বিভিন্ন দিক তুলে ধরতে শুক্রবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক। সেখানে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান ছাড়াও সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিবেরাও উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, ‘আজ থেকে দুই বছর আগে ২০১৯ সালের ২৯ জুন আমি সংসদে বলেছিলাম- আজ আমরা ঋণ নিচ্ছি। কিন্তু সময় এসে গেছে, আমরা আর ঋণ নেব না, আমরা ঋণ দেবো। আমাদের ঋণ দেওয়ার সময় এসে গেছে।’ বাজেটে কর ছাড়ের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা লক্ষ্য রেখেছি, আইনটিকে আমরা সহজ করব। আমরা মনে-প্রাণে বিশ্বাস করি যদি আমরা আইনটিকে সহজ করতে পারি, ট্যাক্স পেয়ারদের যদি এই কাজে সম্পৃক্ত করতে পারি, তাহলে রেভিনিউ জেনারেশন অনেক বৃদ্ধি পাবে। রেভিনিউ জেনারেশন বাড়াতে পৃথিবীর অনেক দেশ চেষ্টা করেছিল। এমনকি আমেরিকায়ও কোনো একসময় ৭৫ শতাংশ ট্যাক্সের পরিমাণ ছিল, সেটা এখন নেই। বেশি করে ট্যাক্স আদায় করা যায় কি না সেটি সবাই চেষ্টা করেছিল।
কর্মসংস্থান প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, বাজেট সবার জন্য। পুরো বাজেট ব্যবসায়ীবান্ধব। ব্যবসায়ীরা সুযোগ নিয়ে উৎপাদনে যাবেন এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ-সুবিধা হবে। ব্যবসায়ীদের অনেক সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে। ব্যবসায়ীদের সুযোগ দিলেই তারা উৎপাদনে যাবেন এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। আমরা আরো পরিবর্তন করবো। আমরা করের নেট বাড়াবো কিন্তু রেট কমাবো। রেট কমাবো—ট্যাক্স বলেন, ভ্যাট বলেন, মূসক বলেন সবই কমাবো।